অর্ক আর সায়নী—ফিরে এসেছে আরও এক অজানা রহস্যের মুখোমুখি হতে। তাদের যাত্রা থেমে থাকেনি। বরং, প্রথম কেসের রেশ কাটতে না কাটতেই এক তরুণী এসে দাঁড়ায় অর্কের অফিসের দরজায়—চোখে আশঙ্কা, হাতে এক খাম, আর ঠোঁটে কাঁপতে থাকা প্রশ্ন : ‘আপনারা কি খুঁজে দিতে পারেন আমার ভাইকে?’
একটা ছবি। এক টুকরো আয়না। কিছু অস্পষ্ট নাম। আর কিছু না-বলা কথা, যা ভেসে ওঠে শুধু নীরবতার ফাঁকে ফাঁকে।
এই কাহিনিতে রহস্য আছে, আছে মৃত্যু। কিন্তু তার থেকেও বেশি আছে—স্মৃতি, ছায়া, ও ভাঙা ভাঙা মানুষের মনের ভিতরে বন্দি হয়ে থাকা কিছু কান্না।
এই উপন্যাসিকা শুধু ‘মিস্ট্রি’ নয়। এ এক মানসিক প্রতিধ্বনি। এখানে ভয় আছে, আছে সেই মানুষরা যারা হারিয়ে গেছে নিজেরই ভিতরে। আর যারা হয়তো ফিরে আসতে চায়—কারও একটা হাত ধরে, কারও চোখের দৃঢ়তায় ভরসা পেয়ে।
এই কাহিনির শেষে সত্য বেরিয়ে আসবে ঠিকই। কিন্তু প্রশ্ন একটাই থাকবে—সব সত্য কি আলোয় থাকে? নাকি কিছু সত্য শুধু ছায়ার নীচেই বাঁচে?
আমার তরফ থেকে আপনাকে আমন্ত্রণ—এই নতুন অন্ধকারের পথে পা রাখুন। অর্ক আর সায়নীর সঙ্গে আবার একবার নামুন সেই ঘরগুলোর ভিতরে… যেখানে দরজা খুললে বাতাস থেমে যায়। আর আয়নায় দেখা যায় এমন কিছু, যা আপনি দেখতেই চান না।
জন্ম ১৯৮৯ সালের ২২-শে ফেব্রুয়ারি উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসাতে। বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর, শিক্ষক প্রশিক্ষণ (বি.এড) সহ। পেশায় শিক্ষক। অবসর সময়ে গল্পের বই পড়ার পাশাপাশি বাংলা ভাষায় সাহিত্যে চর্চার চেষ্টা করেন। ছাপার অক্ষরে স্কুল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয় প্রথম গল্প। ‘বর্তমান’, ‘শুকতারা’, ‘কিশোর ভারতী’, ‘সকলের কথা’, ‘ছোটদের কলরব’ প্রভৃতি পত্র-পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে “গপ্পো-সপ্পো”-র সম্পাদক হিসাবে কাজ করে চলেছেন।